Sunday, April 2, 2017

ভাড়াটের টিভি না থাকলে, পুলিশকে জানান..

ভাড়াটের টিভি না থাকলে, পুলিশকে জানান......!!!
................ বাংলাদেশ পুলিশ।
জাতি কি আমাদের মেনে নেবে?? আমাদের বাসায় তো টিভি নেই....!!!
কিন্তু আমরা পিসিতে সার্ভার দিয়ে; টিভির প্রক্সি মারি......!!!
আবার মাঝে মাঝে দল বল বেধে, রঙ্গীন ফিল্মের দুনিয়ায় শুধু নীল রঙটা বেছে নেই......!!!
একটা শুভঙ্করের গল্প মনে পড়ে গেলো...........
ব্রিটিশ সময়কার গল্প, তখন দূরপাল্লার যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিলো; ট্রেন। একজন লোক ট্রেন দেখতে কেমন তিনি চিনতেন না...! আগে কখনো দেখেন ও নাই! তাই তিনি স্টেশন এসে এক পথচারীকে জিজ্ঞেস করলেনঃ
যাত্রীঃ ভাই, আচ্ছা ট্রেন দেখতে কেমন জানেন??
পথচারীঃ জ্বী জানি....!!!
যাত্রীঃ আমাকে একটু বলবেন আমি চিনি না।
পথচারীঃ কেনো নয়। শুনুন ট্রেনের উপরপাশ হচ্ছে কালো..!!!( তখন ট্রেন কালো ছিলো) আর নিচ দিয়ে পানি পড়বে...! আর ওটাই ট্রেন বুচ্ছেন??
যাত্রীঃ আচ্ছা ঠিক আছে ভাই, ধন্যবাদ।
তারপর কি হয়েছে জানেন...??
একলোক বসে রাস্তায় পাশে পশ্রাব করছে, দেখতে বেশ লম্বা চূড়া। তার পরনে বিশাল লম্বা কালো রেইন কোট পরা। হঠাৎ দেখা যায়, সেই যাত্রী এই লোকের ঘাড়ে উঠে বসে বলছে; এই ট্রেন চলছে না ক্যান?? এই ট্রেন চলছে না ক্যান.......??
"পাঞ্জেরী যখন বেতাল, আম-জনতা তাল মাতাল"
"যেই ইস্যু বের করছেন দেইখেন সেটা যেন আবার টিস্যু হয়ে টয়লেটে না ঝুলে......!!!"


Saturday, March 25, 2017

আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি

আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি; যদি আপনি কোনদিন চোখ,কান,নাক বন্ধ করে বাংলাদেশ বলে চিৎকার দিয়ে থাকেন তবে সেটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দিয়েছেন।
যদি আপনি কখনো রাত দশটার সময় বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে মিছিল করতে বের হয়ে থাকেন, তবে সেটাও এই ক্রিকেটের জন্য করেছেন। যদি আপনি কোনদিন দেশের জন্য চোখের পানি ফেলে থাকেন, তবে সেটাও এই ক্রিকেটের জন্য ফেলেছেন।
ক্রিকেটটা কারও কাছে শুধু খেলা হতে পারে, কিন্তু আমাদের কাছে আবেগ, প্রেম, ভালোবাসা, সব.. সবকিছু। বাংলাদেশ যখন একটা ম্যাচ জিতে তখন সেই হ্যাপিনেসটা আপনি কোটি টাকা দিয়েও কোথাও পাবেন না ।
আমরা কাঁদতে পারি, আবার হাসতে পারি, আবার গর্ব করি; আমাদের দেশের ক্রিকেট নিয়ে। ঠিক তেমন গর্ব করেছিলাম, আমাদের দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিলো। আজ মাঠে ১১ জন খেলে আর ১৭ কোটি মানুষ আমরা তাকিয়ে থাকি জয়ের দিকে। বুক ভরে দোয়া করি; শুধু মাত্র জয়ের নেশায়। ঠিক '১৯৭১' সালেও খেলেছিলো ওই ১১ জনই কিন্তু ১১ টা সেক্টর হয়ে; কিন্তু গর্বের বিষয় কি জানেন?? ৭ কোটি মানুষ জয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেননি তারাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন; শুধু মাত্র জয়ের নেশায় না, অধিকারের নেশায়, ন্যায় বিচারের নেশায়, সার্বভৌমত্বের নেশায়, বাঙ্গালী জাতী হিসেবে পরিচয় দেয়ার নেশায়।
দেখবেন যখন সাকিব, মাশরাফি, তামিমরা মাঠে খেলে তখন নিজের প্রতি নিজের জেদ হয়! কেনো জানেন?? এই ভেবে যে আপনি কেনো নন সেই সাকিব, তামিমদের জায়গায়..! দেখবেন তখন নিজেকে অনেক ছোট মনে হবে। মনে অনেক আকাঙ্ক্ষা থেকে যাবে। কিন্তু আপনার ইচ্ছে ছিলো সাকিব, তামিমদের সাথে সহযোদ্ধা হবার। কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনি পারছেন না তাদের মত ১৭ কোটি মানুষকে লিড দিতে। কিন্তু সেই '৭১' এ সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো জাত,কূল,ধর্ম নির্বিশেষে; কারন সবার জায়গা ছিলো-যার যার জায়গা থেকে সংগ্রাম করার।
আপনি মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক,তামিম না। আপনি মুক্তিযোদ্ধা না। যদি বলি হ্যা আপনিও একজন মুক্তিযোদ্ধা; আবার আপনিই সাকিব, মাশরাফি, মুশফিক-একবার ভেবেই দেখেন না। দেশপ্রেম খুঁজে পাবেন আত্বছায়ায়। দেশের কত ভার এই মাশরাফি, সাকিবদের হাতে। আর আপনিও একজন মাশরাফি, সাকিব-আপনার হাতেও কত ভার দেশের, মন থেকে ভেবে দেখুন। দেখবেন নিজেই নিজেকে চিনবেন না। দেশকে নিয়ে যত অবজ্ঞা যত অবহেলা সব কেটে যাবে। নিজেকে পূর্নাঙ্গ দেশপ্রেমিক মনে হবে।
জানেন কি আমাদের তরুণেরা দেশ প্রেম খুজে পায় না। তারা বলে কিসের দেশপ্রেম কিসের কি?? কিন্তু এই ক্রিকেট চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দেশপ্রেম কি। মনে রাখবেন; দেশপ্রেম দেখানোর বা বোঝানোর কিছুনা- এটা অনুধাবন ও অনুভব করে-করে দেখানোর জিনিষ। ভাবতে পারেন, '৭১' এর দেশপ্রেম আর আমাদের এখনকার দেশপ্রেমে কত ফারাক..! নাহ আমি হলফ করে বলতে পারবো কোন ফারাক নেই। তা এই ক্রিকেট দেখিয়ে দেয়। '৭১' এ যে যেখান থেকে পেরেছে দেশের জন্যে লড়াই করে গেছে। আর এখন সবাই নিজের ভেতরে একেকটা সাকিব, মাশরাফিকে খুঁজুন। পার্থক্য বেশী পাবেন না, আবারো হলফ করে বললাম।
সর্বোপরি বলতে চাই, আমাদের দেশপ্রেম শুধু ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। এই দেশপ্রেম সকল ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে হবে। আমার দেশ আমাকেই গড়তে হবে। আর দেশ তখনি মাথা তুলে দাঁড়াবে, যখন আমরা মাথা তুলে দাঁড়াবো।
আজ আর নয়, আজ বাঙ্গালী জাতীর গর্বের দিন। আজ 'মহান স্বাধীনতা দিবস'। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গাজী মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের জন্যে আজ আমরা স্বাধীন, যাদের জন্যে আজ আমরা বিশ্বের মধ্যে আরেক জাতী নাম তার ''বাঙ্গালী''।যাদের জন্যে আজ পালন করতে পারছি স্বাধীনতা দিবস।......
সারাজীবন এই অনুভূতি গুলি নিয়ে, নিজের বুকের শিণা টান-টান করে, মাথা উঁচু করে বলে যাবো; 'আমি গর্বিত, আমি বাঙ্গালী'......

Thursday, March 23, 2017

একাকীত্ব

জীবনে একটা সময় আসবে যখন আপনার মনে হবে আপনি নিজেকে শূণ্যতায় হারিয়ে ফেলছেন।সেই সময়টায় নিজেকে খুব বেশি একা মনে হবে।মনে হবে পায়ের নিচ থেকে আস্তে আস্তে মাটি সরে যাচ্ছে।আপনি মুখোমুখি হবেন কঠিন বাস্তবতার।বুক ফেঁটে কান্না আসবে সে সময়।চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে হবে। মাঝে মাঝে দু'এক ফোঁটা জল মনের অজান্তেই পড়ে যাবে।
.
আপনি তখন ঠিক বুঝে যাবেন দিনশেষে আপনাকে নিয়ে আসলে কারোই কোন মাথা ব্যথা নেই।আপনি ভালো আছেন নাকি খারাপ আছেন তাতে কারো কিছুই আসে যায় না।রাতগুলো খুব বিশাল মনে হবে।মনের ভিতরের কথাগুলো কাউকে খুব করে বলতে ইচ্ছে হবে।
.
কাউকে ভরসা করে,অনেক আশা নিয়ে যখন কিছু বলবেন দেখবেন সেও পর্যন্ত আপনাকে একটু বুঝার চেষ্টা করেনি। ভাবছেন আপনার মন খারাপ দেখে,চুপ হয়ে যাওয়া দেখে কেউ জিজ্ঞেস করবে,
.
"কিরে তোর কি হয়েছে??"
.
"কিরে কোন সমস্যা?? "
.
"কি তোর শরীর খারাপ??"
.
"কেউ কি তোকে কিছু বলেছে??"
.
"তুই কি কোন কিছু নিয়ে টেনসনে আছিস??"
.
কিন্তু আপনি দেখলেন কেউই আপনার কোন খবর নিতে আসেনি।আপনার দিকে মনোযোগ দেয়ার সময় কারো হয় নি।সবাই তার নিজেকে নিয়ে খুব ব্যস্ত। ভীষণ রকমের ব্যস্ত।তখনই নিজেকে খুব অসহায় মনে হবে।আপনি তো বেশি কিছু চান নি,চেয়েছেন খারাপ সময়গুলো তে কেউ একজন পাশে থাকুক।কেউ একজন সময় নিয়ে কথাগুলো শুনুক।কিন্তু কেউ শুনছে না।
.
সত্য বলতে গেলে,পৃথিবীতে আমি,আপনি,সে আমরা সবাই আজ বড্ড বেশি একা,বড্ড বেশি ব্যস্ত।তাই কারো আশায় বসে থেকে কোন লাভ নেই,কারো কথা ভেবে ভেবে রাত পার করে কোন লাভ নেই।কারো জন্য জীবনটা নষ্ট করে কোন লাভ নেই।
.
নিজের জন্যই নিজেকে বাঁচতে হবে।শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দিয়ে যে লাভ নেই, বরং নিজেকে খুব বেশি ভালো সময় উপহার দেয়া প্রয়োজন।জীবনটা যে বেশ ছোট। তাই ভালো থাকাটা খুব বেশি প্রয়োজন। জীবনে হেরে যাওয়া জন্যে নয়,জয়ী হওয়াটা খুব প্রয়োজন।

Wednesday, March 22, 2017

তাদের কখনো ভুলে যেও না

তাদের কখনো ভুলে যেও না; যারা নিজেদের প্রতিটি দিন থেকে তোমার জন্য আলাদা করে 'সময়' বরাদ্ধ রেখেছিলো!! তবে হ্যা, সাবধান!লোক দেখানো ভালবাসা থেকে। এই প্রজাতির মানুষদের থেকে কিছুটা 'দূরত্ব বজায়' রাখাই শ্রেয়। এরা তোমাকে আলিঙ্গন করবে বুকে রেখে আর ছুরি মারবে পিঠে। এদের মন মানুষিকতা ক্যান্সারে আক্রান্ত.......


Tuesday, March 21, 2017

কখনো কি ভেবেছিলে একা একা হাটবে??

কখনো কি ভেবেছিলে একা একা হাটবে?? কখনো কি ভেবেছিলে একা একা রাতে তারা গুনবে?? কখনো কি ভেবেছিলে এই সোনার যৌবন নিকোটিনের দাগে থেঁতলে ক্যান্সার গিলে ফেলবে তোমার যৌবন?? কখনো কি ভেবেছিলে চালশে হয়ে মনের রঙ সব হারিয়ে ফেলবে?? কখনো কি ভেবেছিলে নিজ সন্তানের প্রশ্নের সম্মুখিন হবে?? ভাবো নি তাই তো??
কিন্তু আজ এত একা লাগছে কেনো তোমার?? কি মনে হচ্ছে আজ তোমার?? কী জীবনে কাল স্রোতের করাল গ্রাসে তুমি আজ পরাজিত সৈনিক? জীবন কি এখানেই শেষ?? একটু খেয়াল করে দেখো তুমি ভাগ্যকে দোয়াই দিয়ে বসে আছো। প্রতিদিন তামাক পাতার ধোয়ায় যে স্বপ্ন গুলো তোমার উড়ে যাচ্ছে, তা কিন্তু হারিয়ে যায় নি; ধোয়াগুলো ঘনিভূত হয়ে মেঘে পরিনত হয়েছে। যা তোমার মাথার উপরেই বিদ্যমান। এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে পারলেই তুমি আবার সেই হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে ধরতে পারবে।
কই কখনো চেষ্টা করে দেখো নিতো, খালি ভাগ্যের দোহাই দিয়ে গেলে। ভাগ্যের আরেক নাম ধৌর্য, সাহস, পরিশ্রম, আত্নবিশ্বাস। যা সব কিছুই তোমার ভিতরে ছিলো কিন্তু তোমার ভাগ্যের দোহাই এর কাছে সব কিছু হারিয়ে গেছে। এভাবে চলবে আর কয়দিন?? আর কয়দিন এই তামাক তিলে তিলে গ্রাস করবে তোমাকে?? সময় চলে যায় নি পাগলা। সেই মেঘরুপী স্বপ্নগুলো প্রতিনিয়ত তোমাকে হাতছানি দিয়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠে তাকে আলিঙ্গন করার আহবান দিচ্ছে। আবার প্রথম থেকে শুরু হয়ে যাক এভারেস্টের চূড়ায় উঠার দৃঢ় প্রত্যয়; সেই চেষ্টায় থাকবেনা কোন হতাশা থাকবেনা কোন তামাক, শুধু থাকবে প্রচেষ্টা, আত্নবিশ্বাস, সাহস আর ধৌর্য।
চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে নিজের সবটুকু দিয়ে; তুমি পারবে এই আত্নবিশ্বাস আর সাহস নিয়ে।হ্যা, জয় তোমার জন্যেই এসেছে। বার বার পরাজিত সৈনিকের জয় কিছুটা আব্রাহাম লিংকনের মত হয়; সেখানে প্রচুর আত্নতৃপ্তি আর সম্মান পাওয়া যায়। মনে রাখবে "জীবন মানে হেরে যাবার জন্যে নয়, জীবন মানে সংগ্রামের পর সংগ্রাম করে নিজেকে পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখা"


Monday, March 20, 2017

ভালবাসার যোগ-বিয়োগ

দেখবে একদিন চারপাশে চুপচাপ, কোন কোলাহল নেই, নেই কোন মানুষের হাহাকার। চিৎকার করে কান্না করবে তুমি কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাবার জন্যে। মনের সব কষ্টের কথা শেয়ার করতে। কিন্তু না! কেউ থাকবে না। সে দিন বিশ্বাস করনি, আমার পাগলামি শুধুই চ্যাছড়ামী ছাড়া আর কিছুই ছিলনা তোমার কাছে। তোমাকে আমি একটা কথা সবসময় বলতাম মনে আছে কি?"পৃথিবীটা রহস্যময়, কে কখন কার ভূমিকায় চলে যায় কেউ বলতে পারে না।" কখন যে মনের অজান্তে তুমি আমি হয়ে গেছি, আর আমি তুমি হয়ে গেছো তা বুঝতেই পারলাম না।

কিভাবেই বা বুঝবো বলো! অবজ্ঞা,অবহেলা,অবিশ্বাস দিয়ে চলতে থাকা সম্পর্কে কি আর ভালবাসার জন্ম হয়, যদিও জন্ম হয় তা নিছকই লোকদেখানো আর কামতা ছাড়া কিছু না। হ্যা, আমি পেরেছি ভালবাসার জন্ম দিতে ঠিকি কিন্তু তোমার  অবজ্ঞা আর অবহেলায় তাতে আক্রমন করে ক্যান্সার আর তিলে তিলে এই ক্যান্সার গিলে ফেলতে শুরু করে আমার সব অনুভব, ইমোশান্স।

পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। আমি যে অবজ্ঞা আর অবহেলায় তিলে তিলে পাষান হয়ে গেছি, আমি যে তুমি হয়ে গেছি! আমার পৃথিবীটা আর তুমিময় নেই! এগুলো ফিল্মেই হয়, বাস্তবে নাহ। নিজেকে নিয়ে বাচতে শিখে গেছি। আজ হয়তো তোমার ভালবাসা নেই, কিন্তু অনেক অনেক ভালবাসা নিয়ে বেচে আছি...........

পিছনে কথা বলার চাইতে সামনে সরাসরি মনের ক্ষোভ বলে দেয়াই শ্রেয়

পিছনে কথা বলার চাইতে সামনে সরাসরি মনের ক্ষোভ বলে দেয়াই শ্রেয়। কারন যে পর তাকের আপনি যতই আপন ভাববেন বা জীবনের সেরা কয়েক জন বন্ধুর তালিকায় বা সেরা কয়েকজন মানুষের তালিকায় রাখতে যাবেন, সে আপনাকে পরই ভাববে তা ছাড়া আর কিছু না।
'সামনে রাম রাম, পিছনে হিরো আলম' ভাবা লোক গুলো সারাজীবন এভাবেই কাটিয়ে দেয় তাদের জীবন। বন্ধুর মানে বুঝতে হয়। কিছু বলার অধিকার দিতে হয়। প্রতিনিয়ত আপনাকে যে মেসেজে লাভ ইউ বা মেসেঞ্জারে লাভ ইমো পাঠায় সে আপনাকে কতটুকু ভালবাসে বা কতটুকু বন্ধু ভাবে তা সময় একদিন দেখিয়ে দিবে; একটা ছোট কথার মধ্যে দিয়ে। আর যে বন্ধু কখনো আপনাকে লাভ ইউ বা লাভ ইমো দেয় নি, সে আপনাকে কতটুকু ভালবাসে সেটাও সময় দেখিয়ে দিবে! মনে রাখবেন সময় বড় নিষ্টুর!!
আমি আগেও বলেছি প্রায়োরিটি অনেক বড় জিনিস। আমরা বাহিরের মানুষ গুলোকে প্রায়োরিটি দিতে দিতে ঘরের মানুষদের ঘর থেকে বের করে দেই। আর সেই বাহিরের মানুষ ঘরে ঢুকে দিনের পর দিন আপনাকে ব্যাবহার করে। আর আপনি কিছুটা আত্নপ্রশান্তিতে ব্যাবহারিত হতে থাকবে।
তাই আরেক জনের পিছনে না বলে সামনে বলার সৎ সাহসটা আর্জন করেন। আর হ্যা সম্পর্কের প্রায়োরিটি দিতে শিখুন। কুকুরকে প্রানীর মত ভালবাসেন। মানুষকে মানুষের মত। কুকুরকে বেশী আপন বানানো যায় না কারন সে কুকুর মানুষ না। তাকেই রাস্তায় বেশী মানায়। বেশি আপন করতে নেই। পরে হিতে বিপরীত হতে পারে। মনে রাখবেন এই সমাজে কিছু মানুষ রুপী কুকুর আছে!সাবধান!!!

About

Blogger templates